Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2020

বাঁচাও|Episode 5|Investigation| By Wrishat Hasan

কাটা ছেড়ার  দাগ বিভার পায়ে কী করে আসলো। এর মানে হয়তো তার পড়ে গিয়ে আঁচড় লেগেছে নয়তো তাকে মারধর করা হয়েছে। দুটোর মধ্যে একটা হলেও চিন্তার বিষয় খুঁজে পাচ্ছি না। দুষ্টুমি করলেতো আমার মাও উত্তম অধম দেয় আর পড়ে গেলে তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। স্কুলের ঘন্টা পড়ে গেলো। বন্ধুদের সাথে গল্প করে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। রাস্তায় একটা পাটকেলকে ফুটবল বানিয়ে লাথি দিতে দিতে উত্তেজিত হয়ে এমন জোরে লাথি দিলাম যে পাটকেল টি গিয়ে একটা কুকুরের গায়ে পড়লো। মনের মধ্যে ভয়ে একটাই কথা "ইটটাকে  ওখানেই পড়তে হলো "। স্থানিয়  ভাষায় যাকে  বলে আইজো দৈড় কাইলো দৈড় দিলাম। দৌড়ে বট  গাছের কাছে যেয়ে পিছনে ফিরে সস্থির চোখে দেখলাম কুকুরটি আর পিছু নিচ্ছে না। কিন্তু কে জানতো বিভা সেখান থেকেই বাসায় যাচ্ছিলো। আমাকে দেখে পুরোই গম্ভীর ভাবে হাই বলে। মনে মনে ভাবছি এইভাবে কেউ কাউকে হাই বলে। কিন্তু এটা  ভুল করে মুখেই বলে ফেললাম। বিভা দেখলাম কিছু মনে না করেই ওর বাড়ির দিকে রওনা হলো। বাড়ি ফিরে ডিনার করার সময় মনে আসলো "বিভার অপহরণের দিন কোনটা"। ঘুম থেকে উঠে স্কুলে গেলাম। এবারো  বিভার পেছনের বেঞ্চে বসলাম। কিন্তু এবার দেখলাব বিভার ঘা

বাঁচাও|Episode 4|11 years old| By Wrishat Hasan|

বাড়ি ফিরে দরজা খুলে দেখি মা অচেতন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে এবং তার পিঠে চুরি ঢোকানো তার চারপাশে রক্ত। মায়ের পিঠে হাত দিয়ে উল্টাতে গিয়ে আমার হাতে রক্ত লেগে গেলো।মাকে মৃত দেখে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে চলে এলাম। তখনি প্রতিবেশী একজন মহিলা মাকে ডাকতে এসে দেখে আমার হাতে রক্ত। সে চিৎকার করে আমাকে খুনি ও ডাকাত বলে ডাকতে লাগে। সে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে ফোন দেয়। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার থেকে বার বার পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখনি পুলিশ আমাকে ঘিরে ফেলে। আমি কিছু না করতে পেরে পিছনের দিকে দৌড় দিলাম। তখনি একজন পুলিশ আমার দিকে গুলি করলো, গুলি তা মাথায় লাগবার আগেই সেই ঘড়ি হাজির। কিন্তু এবার আমি চলে এলাম একেবারে ১৩ বছর আগে। যখন আমার বয়স ১১। নিজের বয়স ১১ হলেও মনের মধ্যে আমি ২৪ বছর বয়সি। প্রশ্ন জগতে লাগলো আমি ১৩ বছর আগে কেন চলে এলাম। এর সাথে পুলিশ ও মায়ের খুন হবার সম্পর্ক কী ? তখনি মনে আসলো সেই টুপি ও কোর্ট পরা লোক, মায়ের ড্রয়ারে তার ছবি এবং অর্ণ, বিভা ও বিদিশার অপহরনণ এবং খুন। আমি হয়তো ১৩ বছর আগে ফিরে  এসেছি এদের বাঁচানোর জন্য। প্রথমেই মনে আসলো অর্ণ ও বিভা আমাদের স্কুলে পড়ে। কিন্ত বিদিশা পরে আরেক স্কুলে। এই ৩ জ

বাঁচাও|Episode 3|The Murder Thoughts| By Wrishat Hasan

এটা বুঝে গেলাম যে যখন কোনো কিছু খারাপ হতে চলে তখন আমি ৫-১০ মিনিট অতীতে চলে আসি। এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাড়ি পৌছালাম। তখন সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। এখন রেস্তোরায় যেতে হবে নাহলে একদিন না কাজ করার জন্য বসের কাছে কথা শুনতে হবে। রেস্তোরায় আজ রিয়াজ নেই। ফয়সাল কে জিজ্ঞাস করলে সে বললো শরিফের  বাবা অসুস্থ। আমি নিশিতা ও ফয়সালকে কাজ শেষ করে আমার সাথে শরিফের  বাবাকে দেখতে যেতে বললাম। নিশিতা রাজি হলেও ফয়সাল আজ ওভারটাইম করবে তাই সে যেতে পারবে না। আমি বললাম "ঠিক আছে তাহলে আমি আর নিশিতাই যাবো"। কাজ শেষে রাত  ৮ টার দিকে সিটি হাসপাতালের দিকে রওনা হলাম। যেতে যেতে ৮ টা ১৫ বেজে গেছে, হাসপাতালে যেয়ে দেখি শরিফের  বাবাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। শুনলাম তার অবস্থা আগের থেকে ভালো। রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ায় তার এই অবস্থা। শরিফের সাথে গল্প করতে করতে রাত  ১০ টা ৩০ বেজে গেছে। যাওয়ার সময় হয়েছে বলে বিদায় জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় কোনো রিকশা বা যানবাহন নাই। থাকবেই বা কেন  শহরে রাত ১০ টার পর কোনো যানবাহন চলে না। নির্জন রাস্তায় আমি আর নিশিতা হাটতে হাটতে বাসায় যাচ্ছি। একা বলে নিশিতা কে ভাবলাম বাড়ি এগিয়ে দ

বাঁচাও|Episode 2|The Realization and The Saving| By Wrishat Hasan

চোখ খুলে দেখি আমার সামনে নিশিতা এবং ফয়সাল বসা। পরিবেশ দেখে বুঝে গেছি আমি হাসপাতালে। প্রথমে মনে এলো বাচ্চাটার কথা। কিছু বলার আগে নিশিতা বলে উঠলো "কেমন ভাবেইনা বাচ্চাটাকে বাঁচালে একেবারে সুপারহিরো। কথাটি শুনে মনে মনে হেসে বললাম "আমি নাকি সুপারহিরো মেয়েটা পাগল বটে"। এমনি কিছু কথাবার্তার পর ডাক্তার এসে বলে আমাকে আজ রিলিজ দেয়া হবে। রাত বেজে ৮ টা বাড়ি গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে লক করা। আশ্চর্যের সাথে দরজায় নক করলাম। ভেতর থেকে আওয়াজ এলো "আসছি "। কণ্ঠ শুনে বুঝে গেছে মা। দরজা খুললে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করি সে এখানে কি করছে। উত্তর আসে "আজ দুপুর ২ টায় ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছি ছেলে মরার আগে একবার দেখে নেওয়া ভালো" বলে মা কতগুলো কোকের ক্যান নিয়ে খাটে  বসে টিভি দেখতে বসে গেলো। মা এরকমই তাই এটা অতিস্বাভাবিক। ডিনার করে দ্বিতীয় রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিছুতেই ঘুম আসছিলো না। বার বার একই কথা মনে পড়ে  ঘড়ির কাঁটা, টাইমের পেছনে চলে যাওয়া, কিছু তো একটা প্যাটার্ন আছে এতে। কোনোমতে ঘুমোলাম। সকাল ৯ টা আজ মার্কেট যাবার কথা মায়ের সাথে। নাস্তা করে রওনা হলাম মৌ সুপারমার্কেটের দিকে। বাজার করে

বাঁচাও (প্রথম পর্ব)

জাতীয় পত্রিকার কার্টুনিস্ট পদে চাকরি পাবার জন্য গত এক বছর ধরে চেষ্টা করছি। বাড়িতে বসে নানান রকম কার্টুন প্র্যাকটিস করেছি, অ্যানিমে এঁকেছি, কিন্তু ইন্টারভিউ দেয়ার সাহস পাইনি। এবার ভাবলাম দেরি না করে একটা ইন্টারভিউ দিয়েই ফেলি। সন্ধ্যায় একটা অ্যানিমে সিরিজ দেখছিলাম। ভাবলাম এনিমের মূল ক্যারেক্টার সাতোরু ফুজিনুমাকে আঁকবো। আঁকতে শুরু করেছি এর মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে গেল। আজকাল বিদ্যুৎ আর বৃষ্টি কখন আসে কখন যায় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। টর্চ জ্বালিয়ে কাজ চালাতে হলো। কালকে সকাল এগারোটায় দৈনিক বাংলাদেশ পত্রিকার মঙ্গলবারের ম্যাগাজিনের জন্য কার্টুনিস্টদের ডেকেছে। সেটাতেই ইন্টারভিউ দেবো ভেবেছি। এমনিতে আমার চেহারা ভেজা কাকের মতো। তাই সকাল সকাল উঠে পরিচ্ছন্ন হয়ে সুন্দর জামাকাপড় পরে নিলাম। সোয়া দশটায় বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম পত্রিকার হেডকোয়াটারের দিকে। পনের মিনিটেই পৌঁছে গেলাম। রিকশা ভাড়া দিয়ে চলে গেলাম দোতলায়। দেখি প্রায় এক কুড়ি লোক সারি দেয়া চেয়ারে বসে আছে। বুঝে গেলাম, তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। আমার পালা আসতে প্রায় ঘণ্টাখানেক লেগে গেল। পিওনগোছের একটা লোক আমার নাম ধরে ডাকলো। ভারী দরজা খু