Skip to main content

বাঁচাও|Episode 4|11 years old| By Wrishat Hasan|

বাড়ি ফিরে দরজা খুলে দেখি মা অচেতন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে এবং তার পিঠে চুরি ঢোকানো তার চারপাশে রক্ত। মায়ের পিঠে হাত দিয়ে উল্টাতে গিয়ে আমার হাতে রক্ত লেগে গেলো।মাকে মৃত দেখে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে চলে এলাম। তখনি প্রতিবেশী একজন মহিলা মাকে ডাকতে এসে দেখে আমার হাতে রক্ত। সে চিৎকার করে আমাকে খুনি ও ডাকাত বলে ডাকতে লাগে। সে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে ফোন দেয়। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার থেকে বার বার পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখনি পুলিশ আমাকে ঘিরে ফেলে। আমি কিছু না করতে পেরে পিছনের দিকে দৌড় দিলাম। তখনি একজন পুলিশ আমার দিকে গুলি করলো, গুলি তা মাথায় লাগবার আগেই সেই ঘড়ি হাজির। কিন্তু এবার আমি চলে এলাম একেবারে ১৩ বছর আগে। যখন আমার বয়স ১১। নিজের বয়স ১১ হলেও মনের মধ্যে আমি ২৪ বছর বয়সি। প্রশ্ন জগতে লাগলো আমি ১৩ বছর আগে কেন চলে এলাম। এর সাথে পুলিশ ও মায়ের খুন হবার সম্পর্ক কী ? তখনি মনে আসলো সেই টুপি ও কোর্ট পরা লোক, মায়ের ড্রয়ারে তার ছবি এবং অর্ণ, বিভা ও বিদিশার অপহরনণ এবং খুন। আমি হয়তো ১৩ বছর আগে ফিরে  এসেছি এদের বাঁচানোর জন্য। প্রথমেই মনে আসলো অর্ণ ও বিভা আমাদের স্কুলে পড়ে। কিন্ত বিদিশা পরে আরেক স্কুলে। এই ৩ জনের মধ্যে বিভার সবচেয়ে আগে অপহরণ ও খুন হয়। তাই ঠিক করলাম বিভাকে আগে বাঁচাবো। আমি অতীতে এসে যেখানে ছিলাম সেটা হলো বট  গাছের তলা। বাড়ির রাস্তা ঠিক মনে আছে কিন্ত বাড়ি চিনবো কিনা সেটা ঠিক বলতে পারছি না। কোনোমতে চিনে চুনে বাড়ি পৌছালাম। বাড়ি মা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। খাবার খেয়ে ঘুমোতে গেলাম। সকাল ৭ টার সময় আমাকে ঘুম থেকে উঠতে হতো। এইবার সেইভাবেই অ্যালার্ম সেট করে ঘুমোলাম। সকাল ৬ টা, ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছি। মা স্কুল ব্যাগ রেডি করে রেখেছে। কিন্ত আমি এখনো ভাবছি কিভাবে বিভাকে বাঁচাবো। মেয়েটা কারোর সাথে কথা বলে না, ক্লাসের এক কোনার বেঞ্চে বসে। কেউ কিছু জানতে চাইলে হাই, হ্যালো বলে বিদায় নেয়। তাহলে প্রথমে ওর সাথে গভীর বন্ধুত্ব  করতে হবে। কিন্ত সেটা কিভাবে ? । আমরা ৪ জন বন্ধু ক্লাসের পর স্টাডি রুমে বসে গল্প করি। অর্ণ, বিদ্যুৎ ও সোম আর আমাকে নিয়ে ৪ জন। আজ বিকেলে বিভা যখন বাড়ি ফিরছিলো তখন ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কোনো কথা বলছিলাম না বন্ধুদের সাথে। বিদ্যুৎ চুপচাপ, সিরিয়াস ও গম্ভীর ছেলে। সবকিছু নোটিশ করে সে। তাই আমাকে দেখেও তার ধরতে সমস্যা হলোনা যে আমি বিভার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সবাই বলতে লাগলো আমি নাকি বিভার প্রেমে পড়েছি, সোম আমার সামনে এসে পরামর্শের প্রস্তাব দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ  পর বিদ্যুৎ বলে "আহ তোরা  ওকে একা  থাকতে দে  না!" সবাই আমার সামনে থেকে সরে গেলো। বাড়ি ফিরলাম। মা জিজ্ঞাসা করলেন আসতে দেরি হলো কেন আমি কিছু একটা বাহানা দিয়ে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে স্কুলে  যেতে যেতে অনেক কথা ভাবছি। বিভার প্রেমে পড়ার বিষয়টা খারাপ না। নকল করে হলেও এইভাবে ওকে আমি বাঁচাতে পারবো। স্কুলে গিয়ে বিভার পাশের আসনে বসলাম। বিভার পায়ের দিকে তাকাতেই দেখি কতগুলো আঁচড় ও ছেড়া কাটার দাগ........................................(To be continued)
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাঁচাও এর মোট ১২ টা এপিসোড হবে। এরপরের লেখা বাঁচাও Season 2(Romantic Season) নাকি আবারো শূন্য নামে  আরেকটি সিরিজ বানাবো? Comment

Comments

Popular posts from this blog

জারুল (Lagerstroemia Speciosa)

জারুল (Lagerstroemia Speciosa) Photo by: Wrishat Hasan English Name   : giant crepe-myrtle, Queen's crepe-myrtle, banabá plant Bengali Name   : জারুল, বনজারুল, কাঁটাজারুল, বসুঁয়া জারুল, পানিজারুল Scientific Name: Lagerstroemia speciosa Kingdom           :Plantae Family              : Lythraceae  Genus               :Lagerstromia Distribution     :South East Asia,Philippines,India,Bangladesh Defination in Bangla জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ । বাংলাদেশ , ভারত ছাড়াও চীন , মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলের সন্ধান মেলে । নিম্নাঞ্চলের জলাভূমিতে এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। মাঝারি আকৃতির এই বৃক্ষটি শাখা-প্রশাখাময়। এর লম্বাটে পাতাগুলো পত্রদণ্ডের বিপরীতে সাজানো থাকে। এই পাতাঝরা বৃক্ষ শীতকালে পত্রশূণ্য অবস্থায় থাকে। বসন্তে নতুন গাঢ় সবুজ পাতা গজায়। গ্রীষ্মে...

২১শে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

 ২১শে  ফেব্রুয়ারির ইতিহাস ভাষা আন্দোলন (বাংলা: ভাষা আন্দোলন ভাষা আন্দোলন) পূর্ব পূর্ববঙ্গে (বর্তমানে বাংলাদেশ) একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল, যা সরকারি বিষয়গুলিতে তার ব্যবহার অনুমোদন করার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির একটি সরকারী ভাষা হিসেবে বাঙালি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। , শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে তার ব্যবহার অব্যাহত, মিডিয়া, মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পে এর ব্যবহার, এবং বাংলা লিপিতে তার লেখা বজায় রাখতে। ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন দ্বারা পাকিস্তান শাসন গঠিত হলে, এটি মূলত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাথে ভৌগোলিকভাবে অস্থিতিশীল পূর্ববাংলা প্রদেশ (যেটি পূর্ব পাকিস্তান হিসাবে ১৯৫৬ সালে পুনঃনামকরণ করা হয়) সহ বিভিন্ন জাতিগত ও ভাষাগত গোষ্ঠীগুলির দ্বারা গঠিত। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক উর্দুকে একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা পূর্ববাংলার বাঙালিভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়। নতুন আইনের সাথে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং গণ অসন্তোষের মুখোমুখি হওয়া, সরকার জনসভায় সভায় সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য রাজনৈ...

Raees (রইস)

রইস শব্দটার বাংলা অর্থ 'অভিজাত'। অভিজাতরা সাধারণত অপরাধ করে, আর তাদের অপরাধ কখনোই অপরাধ বলে গণ্য হয় না। আর হিন্দি বা বাংলা সিনেমায় তো অভিজাতেরা ভুল (?) বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলেই চলে। তার ওপর সেই 'রইস' যদি হয় সিনেমার নায়ক, তবে তো কথাই নেই। তারা নিজেরাই আত্মসমর্পণ করে, এক দৃশ্য পরেই দেখা যায় নায়ক জেল থেকে বেরিয়ে আসছে। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নায়িকাসহ পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজন। একজন কমেডিয়ানও থাকবে। নায়ক-নায়িকা মিলবে, সবাই হাসিহাসি মুখ করে দাঁড়াবে, আর সঙ্গে সঙ্গে 'হ্যাপি এন্ডিং' হয়ে যাবে। অন্য রকমও হয়। যেমন শ্যুট আউট অ্যাট ওয়াডেলা, আন্স আপোন আ টাইম ইন মুম্বাই বা গ্যাংস অব ওয়াসেপুর। ভারতীয় উপমহাদেশে এমন সিনেমা নিশ্চয়ই আরো কতক আছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই ক'টাই মনে পড়লো। এমনি আরেকটা সিনেমাই 'রইস'। গ্যাংস অব ওয়াসেপুর-এর মতো উচ্চতারে বাঁধা নয় সিনেমাটি, কিন্তু শেষের সমীকরণ মানুষের মনে এক ধরনের অাশাবাদ জন্ম দেয়। তবে নায়ককে 'রবিনহুড' বা 'দস্যু বনহুর' ধরনের ইতিবাচক ইমেজ দেয়ার চেষ্টা লক্ষণীয়। দস্যু বনহুরের মতোই রইসও অবৈধ প...