বাড়ি ফিরে দরজা খুলে দেখি মা অচেতন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে এবং তার পিঠে চুরি ঢোকানো তার চারপাশে রক্ত। মায়ের পিঠে হাত দিয়ে উল্টাতে গিয়ে আমার হাতে রক্ত লেগে গেলো।মাকে মৃত দেখে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে চলে এলাম। তখনি প্রতিবেশী একজন মহিলা মাকে ডাকতে এসে দেখে আমার হাতে রক্ত। সে চিৎকার করে আমাকে খুনি ও ডাকাত বলে ডাকতে লাগে। সে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে ফোন দেয়। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার থেকে বার বার পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখনি পুলিশ আমাকে ঘিরে ফেলে। আমি কিছু না করতে পেরে পিছনের দিকে দৌড় দিলাম। তখনি একজন পুলিশ আমার দিকে গুলি করলো, গুলি তা মাথায় লাগবার আগেই সেই ঘড়ি হাজির। কিন্তু এবার আমি চলে এলাম একেবারে ১৩ বছর আগে। যখন আমার বয়স ১১। নিজের বয়স ১১ হলেও মনের মধ্যে আমি ২৪ বছর বয়সি। প্রশ্ন জগতে লাগলো আমি ১৩ বছর আগে কেন চলে এলাম। এর সাথে পুলিশ ও মায়ের খুন হবার সম্পর্ক কী ? তখনি মনে আসলো সেই টুপি ও কোর্ট পরা লোক, মায়ের ড্রয়ারে তার ছবি এবং অর্ণ, বিভা ও বিদিশার অপহরনণ এবং খুন। আমি হয়তো ১৩ বছর আগে ফিরে এসেছি এদের বাঁচানোর জন্য। প্রথমেই মনে আসলো অর্ণ ও বিভা আমাদের স্কুলে পড়ে। কিন্ত বিদিশা পরে আরেক স্কুলে। এই ৩ জনের মধ্যে বিভার সবচেয়ে আগে অপহরণ ও খুন হয়। তাই ঠিক করলাম বিভাকে আগে বাঁচাবো। আমি অতীতে এসে যেখানে ছিলাম সেটা হলো বট গাছের তলা। বাড়ির রাস্তা ঠিক মনে আছে কিন্ত বাড়ি চিনবো কিনা সেটা ঠিক বলতে পারছি না। কোনোমতে চিনে চুনে বাড়ি পৌছালাম। বাড়ি মা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। খাবার খেয়ে ঘুমোতে গেলাম। সকাল ৭ টার সময় আমাকে ঘুম থেকে উঠতে হতো। এইবার সেইভাবেই অ্যালার্ম সেট করে ঘুমোলাম। সকাল ৬ টা, ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছি। মা স্কুল ব্যাগ রেডি করে রেখেছে। কিন্ত আমি এখনো ভাবছি কিভাবে বিভাকে বাঁচাবো। মেয়েটা কারোর সাথে কথা বলে না, ক্লাসের এক কোনার বেঞ্চে বসে। কেউ কিছু জানতে চাইলে হাই, হ্যালো বলে বিদায় নেয়। তাহলে প্রথমে ওর সাথে গভীর বন্ধুত্ব করতে হবে। কিন্ত সেটা কিভাবে ? । আমরা ৪ জন বন্ধু ক্লাসের পর স্টাডি রুমে বসে গল্প করি। অর্ণ, বিদ্যুৎ ও সোম আর আমাকে নিয়ে ৪ জন। আজ বিকেলে বিভা যখন বাড়ি ফিরছিলো তখন ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কোনো কথা বলছিলাম না বন্ধুদের সাথে। বিদ্যুৎ চুপচাপ, সিরিয়াস ও গম্ভীর ছেলে। সবকিছু নোটিশ করে সে। তাই আমাকে দেখেও তার ধরতে সমস্যা হলোনা যে আমি বিভার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সবাই বলতে লাগলো আমি নাকি বিভার প্রেমে পড়েছি, সোম আমার সামনে এসে পরামর্শের প্রস্তাব দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ বলে "আহ তোরা ওকে একা থাকতে দে না!" সবাই আমার সামনে থেকে সরে গেলো। বাড়ি ফিরলাম। মা জিজ্ঞাসা করলেন আসতে দেরি হলো কেন আমি কিছু একটা বাহানা দিয়ে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে স্কুলে যেতে যেতে অনেক কথা ভাবছি। বিভার প্রেমে পড়ার বিষয়টা খারাপ না। নকল করে হলেও এইভাবে ওকে আমি বাঁচাতে পারবো। স্কুলে গিয়ে বিভার পাশের আসনে বসলাম। বিভার পায়ের দিকে তাকাতেই দেখি কতগুলো আঁচড় ও ছেড়া কাটার দাগ........................................(To be continued)
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাঁচাও এর মোট ১২ টা এপিসোড হবে। এরপরের লেখা বাঁচাও Season 2(Romantic Season) নাকি আবারো শূন্য নামে আরেকটি সিরিজ বানাবো? Comment
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাঁচাও এর মোট ১২ টা এপিসোড হবে। এরপরের লেখা বাঁচাও Season 2(Romantic Season) নাকি আবারো শূন্য নামে আরেকটি সিরিজ বানাবো? Comment
Comments
Post a Comment