চোখ খুলে দেখি আমার সামনে নিশিতা এবং ফয়সাল বসা। পরিবেশ দেখে বুঝে গেছি আমি হাসপাতালে। প্রথমে মনে এলো বাচ্চাটার কথা। কিছু বলার আগে নিশিতা বলে উঠলো "কেমন ভাবেইনা বাচ্চাটাকে বাঁচালে একেবারে সুপারহিরো। কথাটি শুনে মনে মনে হেসে বললাম "আমি নাকি সুপারহিরো মেয়েটা পাগল বটে"। এমনি কিছু কথাবার্তার পর ডাক্তার এসে বলে আমাকে আজ রিলিজ দেয়া হবে। রাত বেজে ৮ টা বাড়ি গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে লক করা। আশ্চর্যের সাথে দরজায় নক করলাম। ভেতর থেকে আওয়াজ এলো "আসছি "। কণ্ঠ শুনে বুঝে গেছে মা। দরজা খুললে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করি সে এখানে কি করছে। উত্তর আসে "আজ দুপুর ২ টায় ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছি ছেলে মরার আগে একবার দেখে নেওয়া ভালো" বলে মা কতগুলো কোকের ক্যান নিয়ে খাটে বসে টিভি দেখতে বসে গেলো। মা এরকমই তাই এটা অতিস্বাভাবিক। ডিনার করে দ্বিতীয় রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিছুতেই ঘুম আসছিলো না। বার বার একই কথা মনে পড়ে ঘড়ির কাঁটা, টাইমের পেছনে চলে যাওয়া, কিছু তো একটা প্যাটার্ন আছে এতে। কোনোমতে ঘুমোলাম। সকাল ৯ টা আজ মার্কেট যাবার কথা মায়ের সাথে। নাস্তা করে রওনা হলাম মৌ সুপারমার্কেটের দিকে। বাজার করে বের হবার সময় আবার সেই ঘড়ি কিন্ত এবার আমি চলে এলাম ১০ মিনিট আগে। কিছুই বুঝতে পারছি না কী হবে এবং কী হচ্ছে। পাশে একটা বাচ্চা বেলুন নিয়ে খেলছে তার সামনে তাকাতেই দেখি একজন সাদা কোর্ট ও টুপি পরা লোক পিস্তল নিয়ে মায়ের দিকে টার্গেট করছে। তখনি আমি চিৎকার করে সেই লোকটির দিকে তেড়ে গেলাম কিন্ত নিমিষের মধ্যে লোকটি কোথায় যেন উবে গেলো। আবারো সেই ঘড়ি কিন্তু এবার আমি এলাম বর্তমানে। মনে হলো হয়তো আমি ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে ফেলেছি , হয়তো বিপদ কেটে গেছে। তখনি মনে পড়লো আমি ওই লোকটিকে আগে কোথাও দেখেছি। হ্যা, ১৩ বছর আগে, আমার বয়স যখন ১১, আমার স্কুল থেকে ৩ জন মেয়েকে অপহরণ করা হয়। তাদের ৩ জনের লাশ ৭ দিন পর পাওয়া যায়। মা তখন পুলিশের ডিটেক্টিভ ছিলেন। তার ড্রয়ারে আমি ওই লোকের ছবি দেখেছি। কিন্ত ওটা তো ১৩ বছর আগের কথা। ওই লোক এখন আসবে কোনো আমার মা কে খুন করতে।.............................(To be continued)
Episode 3 Teaser : মায়ের খুন হবার কল্পনা
Episode 3 Teaser : মায়ের খুন হবার কল্পনা
Comments
Post a Comment