এটা বুঝে গেলাম যে যখন কোনো কিছু খারাপ হতে চলে তখন আমি ৫-১০ মিনিট অতীতে চলে আসি। এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাড়ি পৌছালাম। তখন সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। এখন রেস্তোরায় যেতে হবে নাহলে একদিন না কাজ করার জন্য বসের কাছে কথা শুনতে হবে। রেস্তোরায় আজ রিয়াজ নেই। ফয়সাল কে জিজ্ঞাস করলে সে বললো শরিফের বাবা অসুস্থ। আমি নিশিতা ও ফয়সালকে কাজ শেষ করে আমার সাথে শরিফের বাবাকে দেখতে যেতে বললাম। নিশিতা রাজি হলেও ফয়সাল আজ ওভারটাইম করবে তাই সে যেতে পারবে না। আমি বললাম "ঠিক আছে তাহলে আমি আর নিশিতাই যাবো"। কাজ শেষে রাত ৮ টার দিকে সিটি হাসপাতালের দিকে রওনা হলাম। যেতে যেতে ৮ টা ১৫ বেজে গেছে, হাসপাতালে যেয়ে দেখি শরিফের বাবাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। শুনলাম তার অবস্থা আগের থেকে ভালো। রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ায় তার এই অবস্থা। শরিফের সাথে গল্প করতে করতে রাত ১০ টা ৩০ বেজে গেছে। যাওয়ার সময় হয়েছে বলে বিদায় জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় কোনো রিকশা বা যানবাহন নাই। থাকবেই বা কেন শহরে রাত ১০ টার পর কোনো যানবাহন চলে না। নির্জন রাস্তায় আমি আর নিশিতা হাটতে হাটতে বাসায় যাচ্ছি। একা বলে নিশিতা কে ভাবলাম বাড়ি এগিয়ে দিয়ে আসবো। হটাৎই কোথা থেকে মা হাজির আমাদের সামনে। দুজনকে একা একা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। কিছু বলার আগে সে আমাদের দুজনকে বাসায় ডিনার করতে ডাকলো। বাসায় পৌঁছে ডিনার টেবিলে বসলাম। নিশিতা মায়ের সাথে এমনভাবে মিশে গেলো যেন তারা দুজন দুজনকে বহু কাল ধরে চেনে। মা খাবার নিয়ে আসার পর টেবিলে বসে জিজ্ঞাস করলো "তোমরা কত দিন ধরে একে অপরকে পছন্দ করো"। আমি অবাক হয়ে গেলাম এই কথা শুনে। নিশিতা হকচকিত হয়ে বললো "না! না! আমরা শুধু একসাথে কাজ করি এই যা"। মায়ের মুখ দেখে মনে হলো না সে বিশ্বাস করেছে এই কথা। যাই হোক, ডিনার করে নিশিতাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম। রাস্তার কুকুর গুলো হয়তো আজ উৎসব করছে। ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুম হারাম। সকাল ১০ টা, কাজে যেতে হবে। আজকে রেস্তোরায় অনেক কাজ। কাল থেকে শহর লকডাউন। বিশ্বে বড় রকম মহামারী ছড়িয়েছে। তাই রেস্তোরায় প্রোটেক্টিভ গিয়ার ও স্যানিটাইজার প্রস্তূত করতে হবে তার সাথে ডেলিভারি তো আছেই। সবকিছু শেষ করার পর সন্ধ্যা বাজে ৬ টা মনের মধ্যে কেমন যেন করছে। খালি কল্পনায় আসছে "আমার মা রান্না করছে ও তার পেছন থেকে সেই টুপি ও কোর্ট পরা লোক ছুরিকাঘাত করে মাকে খুন করে ফেলেছে" কিন্ত এমন কিছু হলে তো আমি অতীতে চলে আসতাম। আজ বাসায় তাড়াতাড়ি চলে আসলাম। বাসার দরজা খোলা, দরজা ধাক্কা দিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না......................(To be continued)
কাটা ছেড়ার দাগ বিভার পায়ে কী করে আসলো। এর মানে হয়তো তার পড়ে গিয়ে আঁচড় লেগেছে নয়তো তাকে মারধর করা হয়েছে। দুটোর মধ্যে একটা হলেও চিন্তার বিষয় খুঁজে পাচ্ছি না। দুষ্টুমি করলেতো আমার মাও উত্তম অধম দেয় আর পড়ে গেলে তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। স্কুলের ঘন্টা পড়ে গেলো। বন্ধুদের সাথে গল্প করে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। রাস্তায় একটা পাটকেলকে ফুটবল বানিয়ে লাথি দিতে দিতে উত্তেজিত হয়ে এমন জোরে লাথি দিলাম যে পাটকেল টি গিয়ে একটা কুকুরের গায়ে পড়লো। মনের মধ্যে ভয়ে একটাই কথা "ইটটাকে ওখানেই পড়তে হলো "। স্থানিয় ভাষায় যাকে বলে আইজো দৈড় কাইলো দৈড় দিলাম। দৌড়ে বট গাছের কাছে যেয়ে পিছনে ফিরে সস্থির চোখে দেখলাম কুকুরটি আর পিছু নিচ্ছে না। কিন্তু কে জানতো বিভা সেখান থেকেই বাসায় যাচ্ছিলো। আমাকে দেখে পুরোই গম্ভীর ভাবে হাই বলে। মনে মনে ভাবছি এইভাবে কেউ কাউকে হাই বলে। কিন্তু এটা ভুল করে মুখেই বলে ফেললাম। বিভা দেখলাম কিছু মনে না করেই ওর বাড়ির দিকে রওনা হলো। বাড়ি ফিরে ডিনার করার সময় মনে আসলো "বিভার অপহরণের দিন কোনটা"। ঘুম থেকে উঠে স্কুলে গেলাম। এবারো বিভার পেছন...
Comments
Post a Comment