Skip to main content

বাঁচাও|Episode 3|The Murder Thoughts| By Wrishat Hasan

এটা বুঝে গেলাম যে যখন কোনো কিছু খারাপ হতে চলে তখন আমি ৫-১০ মিনিট অতীতে চলে আসি। এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাড়ি পৌছালাম। তখন সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। এখন রেস্তোরায় যেতে হবে নাহলে একদিন না কাজ করার জন্য বসের কাছে কথা শুনতে হবে। রেস্তোরায় আজ রিয়াজ নেই। ফয়সাল কে জিজ্ঞাস করলে সে বললো শরিফের  বাবা অসুস্থ। আমি নিশিতা ও ফয়সালকে কাজ শেষ করে আমার সাথে শরিফের  বাবাকে দেখতে যেতে বললাম। নিশিতা রাজি হলেও ফয়সাল আজ ওভারটাইম করবে তাই সে যেতে পারবে না। আমি বললাম "ঠিক আছে তাহলে আমি আর নিশিতাই যাবো"। কাজ শেষে রাত  ৮ টার দিকে সিটি হাসপাতালের দিকে রওনা হলাম। যেতে যেতে ৮ টা ১৫ বেজে গেছে, হাসপাতালে যেয়ে দেখি শরিফের  বাবাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। শুনলাম তার অবস্থা আগের থেকে ভালো। রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ায় তার এই অবস্থা। শরিফের সাথে গল্প করতে করতে রাত  ১০ টা ৩০ বেজে গেছে। যাওয়ার সময় হয়েছে বলে বিদায় জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় কোনো রিকশা বা যানবাহন নাই। থাকবেই বা কেন  শহরে রাত ১০ টার পর কোনো যানবাহন চলে না। নির্জন রাস্তায় আমি আর নিশিতা হাটতে হাটতে বাসায় যাচ্ছি। একা বলে নিশিতা কে ভাবলাম বাড়ি এগিয়ে দিয়ে আসবো। হটাৎই কোথা থেকে মা হাজির আমাদের সামনে। দুজনকে একা একা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। কিছু বলার আগে সে আমাদের দুজনকে বাসায় ডিনার করতে ডাকলো। বাসায় পৌঁছে ডিনার টেবিলে বসলাম। নিশিতা  মায়ের সাথে এমনভাবে মিশে গেলো যেন তারা দুজন দুজনকে বহু কাল ধরে চেনে। মা খাবার নিয়ে আসার পর টেবিলে বসে জিজ্ঞাস করলো "তোমরা কত দিন ধরে একে অপরকে পছন্দ করো"। আমি অবাক হয়ে গেলাম এই কথা শুনে। নিশিতা হকচকিত হয়ে বললো "না! না! আমরা শুধু একসাথে কাজ করি এই যা"। মায়ের মুখ দেখে মনে হলো না সে বিশ্বাস করেছে এই কথা। যাই হোক, ডিনার করে নিশিতাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম। রাস্তার কুকুর গুলো হয়তো আজ উৎসব করছে। ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুম হারাম। সকাল ১০ টা, কাজে যেতে হবে। আজকে রেস্তোরায় অনেক কাজ। কাল থেকে শহর লকডাউন। বিশ্বে বড়  রকম মহামারী ছড়িয়েছে। তাই রেস্তোরায় প্রোটেক্টিভ গিয়ার ও স্যানিটাইজার প্রস্তূত করতে হবে তার সাথে ডেলিভারি তো আছেই। সবকিছু শেষ করার পর সন্ধ্যা বাজে ৬ টা মনের মধ্যে কেমন যেন করছে। খালি কল্পনায় আসছে "আমার মা রান্না করছে ও তার পেছন থেকে সেই টুপি ও কোর্ট পরা লোক ছুরিকাঘাত করে মাকে খুন করে ফেলেছে" কিন্ত এমন কিছু হলে তো আমি অতীতে চলে আসতাম। আজ বাসায় তাড়াতাড়ি চলে আসলাম। বাসার দরজা খোলা, দরজা ধাক্কা দিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না......................(To be continued) 

Comments

Popular posts from this blog

জারুল (Lagerstroemia Speciosa)

জারুল (Lagerstroemia Speciosa) Photo by: Wrishat Hasan English Name   : giant crepe-myrtle, Queen's crepe-myrtle, banabá plant Bengali Name   : জারুল, বনজারুল, কাঁটাজারুল, বসুঁয়া জারুল, পানিজারুল Scientific Name: Lagerstroemia speciosa Kingdom           :Plantae Family              : Lythraceae  Genus               :Lagerstromia Distribution     :South East Asia,Philippines,India,Bangladesh Defination in Bangla জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ । বাংলাদেশ , ভারত ছাড়াও চীন , মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলের সন্ধান মেলে । নিম্নাঞ্চলের জলাভূমিতে এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। মাঝারি আকৃতির এই বৃক্ষটি শাখা-প্রশাখাময়। এর লম্বাটে পাতাগুলো পত্রদণ্ডের বিপরীতে সাজানো থাকে। এই পাতাঝরা বৃক্ষ শীতকালে পত্রশূণ্য অবস্থায় থাকে। বসন্তে নতুন গাঢ় সবুজ পাতা গজায়। গ্রীষ্মে ফোটে অসম্ভব সুন্দর বেগুনি রঙের থোকা থোকা ফুল। জারুল ফুলগুলো থাকে শাখার ডগায়, পাতার ওপরের স্তরে। প্রতিটি ফুলের থাকে ছ'টি করে পাঁপড়ি, মাঝখ

২১শে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

 ২১শে  ফেব্রুয়ারির ইতিহাস ভাষা আন্দোলন (বাংলা: ভাষা আন্দোলন ভাষা আন্দোলন) পূর্ব পূর্ববঙ্গে (বর্তমানে বাংলাদেশ) একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল, যা সরকারি বিষয়গুলিতে তার ব্যবহার অনুমোদন করার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির একটি সরকারী ভাষা হিসেবে বাঙালি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। , শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে তার ব্যবহার অব্যাহত, মিডিয়া, মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পে এর ব্যবহার, এবং বাংলা লিপিতে তার লেখা বজায় রাখতে। ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন দ্বারা পাকিস্তান শাসন গঠিত হলে, এটি মূলত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাথে ভৌগোলিকভাবে অস্থিতিশীল পূর্ববাংলা প্রদেশ (যেটি পূর্ব পাকিস্তান হিসাবে ১৯৫৬ সালে পুনঃনামকরণ করা হয়) সহ বিভিন্ন জাতিগত ও ভাষাগত গোষ্ঠীগুলির দ্বারা গঠিত। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক উর্দুকে একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা পূর্ববাংলার বাঙালিভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়। নতুন আইনের সাথে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং গণ অসন্তোষের মুখোমুখি হওয়া, সরকার জনসভায় সভায় সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মী

Raees (রইস)

রইস শব্দটার বাংলা অর্থ 'অভিজাত'। অভিজাতরা সাধারণত অপরাধ করে, আর তাদের অপরাধ কখনোই অপরাধ বলে গণ্য হয় না। আর হিন্দি বা বাংলা সিনেমায় তো অভিজাতেরা ভুল (?) বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলেই চলে। তার ওপর সেই 'রইস' যদি হয় সিনেমার নায়ক, তবে তো কথাই নেই। তারা নিজেরাই আত্মসমর্পণ করে, এক দৃশ্য পরেই দেখা যায় নায়ক জেল থেকে বেরিয়ে আসছে। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নায়িকাসহ পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজন। একজন কমেডিয়ানও থাকবে। নায়ক-নায়িকা মিলবে, সবাই হাসিহাসি মুখ করে দাঁড়াবে, আর সঙ্গে সঙ্গে 'হ্যাপি এন্ডিং' হয়ে যাবে। অন্য রকমও হয়। যেমন শ্যুট আউট অ্যাট ওয়াডেলা, আন্স আপোন আ টাইম ইন মুম্বাই বা গ্যাংস অব ওয়াসেপুর। ভারতীয় উপমহাদেশে এমন সিনেমা নিশ্চয়ই আরো কতক আছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই ক'টাই মনে পড়লো। এমনি আরেকটা সিনেমাই 'রইস'। গ্যাংস অব ওয়াসেপুর-এর মতো উচ্চতারে বাঁধা নয় সিনেমাটি, কিন্তু শেষের সমীকরণ মানুষের মনে এক ধরনের অাশাবাদ জন্ম দেয়। তবে নায়ককে 'রবিনহুড' বা 'দস্যু বনহুর' ধরনের ইতিবাচক ইমেজ দেয়ার চেষ্টা লক্ষণীয়। দস্যু বনহুরের মতোই রইসও অবৈধ প